হিন্দু ধর্মে পূজা করা যতটা গুরুত্ব, তাতে ব্যবহৃত উপকরণ গুলি ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় সব পূজাতেই কর্পূর ব্যবহার করা হয়। নির্দিষ্ট কিছু দেবতার পূজায় কর্পূর একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত করা হয়। এসব পূজায় কর্পূর ব্যবহার না করলে পূজা অসম্পূর্ণ হয়ে থাকে । এছাড়াও বাস্তুশাস্ত্রে কর্পূর ব্যবহার করা হয় নেতিবাচক শক্তি দূর করতে। বাস্তু অনুসারে, কর্পূরের সুগন্ধ নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং ইতিবাচক শক্তি সঞ্চার করে। অতএব, আসুন এই নিবন্ধে কর্পূর সম্পর্কিত কিছু কৌশল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, যা আপনার ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে ।
1.সম্পদ এবং সমৃদ্ধির জন্য
যদি আপনি কাউকে অনেক টাকা ধার দিয়ে থাকেন এবং সেটি আপনি পাচ্ছেন না বা আপনার টাকা কোথাও আটকে থাকে, তাহলে একটি লাল গোলাপের ফুলের মধ্যে এক টুকরো কর্পূর রাখুন, এবং কর্পূর জ্বালিয়ে মা দুর্গার উদ্দেশ্যে নিবেদন করুন। দ্বিতীয়ত, আপনি যদি অপ্রয়োজনীয় খরচ নিয়ে চিন্তিত থাকেন, তাহলে কর্পূর প্রদীপ জ্বালিয়ে ঘরের চারপাশে ঘোরাফেরা করুন। এছাড়াও বিশ্বাস অনুযায়ী চাকরি পেতে প্রতিদিন সকালে স্নান করে কর্পূর জ্বালিয়ে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করা হয়।
2.সমৃদ্ধির এবং শান্তি জন্য
বাস্তু দোষের কারণে ঘরে শান্তি বিঘ্নিত হয় এবং ঘরে কলহের পরিবেশ তৈরি হয়। নেতিবাচক শক্তি দূর করতে কর্পূর ট্যাবলেট বাড়িতে এবং দোকান উভয় জায়গায় রাখা হয়। এতে নেতিবাচক শক্তি হ্রাস পায় এবং বাড়ির সম্পদ বৃদ্ধি পায়।
3.স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন পুজো ঘরে কর্পূর জ্বালান। এছাড়াও যদি আপনার মনে কোনো আকস্মিক দুর্ঘটনা সম্পর্কে সন্দেহ থাকে, তবে তা এড়াতে হনুমান চালিসা পাঠ করুন , তারপর কর্পূরে লবঙ্গ রেখে আরতি করুন। কোনো রোগ যদি দীর্ঘদিন আপনার পিছু ছাড়ে না, তাহলে গোসলের সময় পানিতে ২-৩ ফোঁটা কর্পূর তেল মিশিয়ে নিন, এতে করে আপনার শরীরে ইতিবাচক শক্তি যোগায়।
4.আরো একটি বিশেষ কৌশল
আপনার কঠোর পরিশ্রমের পরেও যদি কোনও কাজ নষ্ট হয়ে যায় কিংবা আপনার যে কোনো কাজ করতে প্রচুর অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় তবে নিয়মিত একটি রূপার পাত্রে লবঙ্গ এবং কর্পূর জ্বালিয়ে এটি সম্পূর্ণ করুন। এতে করে খারাপ কাজগুলোও হতে শুরু করবে এবং জীবনের বাধা-বিপত্তি দূরে সরবে।