জীবনের নানা সমস্যা দূর করার জন্য জ্যোতিষশাস্ত্রের কিছু সহজ প্রতিকার রয়েছে। অনেকেই এই প্রতিকার সম্পর্কে জানেন না বা বিশ্বাস করেন না। এই প্রতিকারগুলি প্রয়োগ করলে শুধুমাত্র চাকরি ও ব্যবসার সমস্যা সমাধান হবে না, বরং মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদও লাভ করা যাবে।
আসুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে এই প্রতিকারগুলি আপনার জীবনের অসুবিধা দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
ভাগ্য উজ্জ্বল করতে
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথমেই দুই হাতের তালুর দিকে তাকিয়ে, তা মুখের সামনে তিন-চার বার ঘোরান। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, হাতের তালুর ওপরের অংশে দেবী লক্ষ্মীর, মাঝখানে মা সরস্বতীর এবং নিচের অংশে ভগবান বিষ্ণুর অবস্থান রয়েছে। এটি করলে আপনার ভাগ্য উজ্জ্বল হবে।
চাকরি বা ব্যবসার ক্ষেত্রে
চাকরি পেতে সমস্যা হলে, শনিবার শনি মন্দিরে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালান। এতে চাকরি সংক্রান্ত সমস্যা দূর হবে এবং শনির অশুভ প্রভাব কমে যাবে। ব্যবসায়ীর জন্য, কর্মক্ষেত্রে বা অফিসে ‘ব্যাপার বৃদ্ধি যন্ত্র’ স্থাপন করা উপকারী। এটি অর্থলাভ এবং ব্যবসার সম্প্রসারণে সহায়তা করে।
পরিবারে সুখ-শান্তি
পরিবারে যদি প্রতিদিন ঝগড়া-বিবাদ হয় এবং নেতিবাচকতা লক্ষ্য করেন, তাহলে নুন এবং জল মিশিয়ে পুরো ঘর মুছে ফেলুন। এটি ঘরে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বাড়াবে এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালবাসা ও সম্প্রীতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
সন্তান লাভের জন্য
সন্তান লাভের আশায় স্বামী-স্ত্রীকে রামেশ্বরমে ভ্রমণ করা উচিত এবং সেখানে সাপের পূজা করা উপকারী। পিতৃদোষের কারণে সন্তান সুখ না পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। পিতৃদোষ দূর করার জন্য এই পূজা কার্যকরী হতে পারে।
মা লক্ষ্মী প্রসন্ন করার উপায়
আপনার ভাগ্য উজ্জ্বল করতে চাইলে প্রতিদিন পিঁপড়েকে চিনির সঙ্গে ময়দা মিশিয়ে খাওয়ান এবং মাছকে আটার গুলি দিন। এটি আপনার পাপ কর্ম মেটাবে এবং পুণ্যের উদ্ভব ঘটাবে, ফলে মা লক্ষ্মী খুশি হবেন।
মনোকামনা পূরণের জন্য
প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় অশ্বত্থ গাছে দুধের সঙ্গে জল মিশিয়ে নিবেদন করুন। তারপর দেশি ঘি-এর প্রদীপ জ্বালিয়ে, আপনার ইচ্ছা বলুন এবং ৫ চক্কর কাটুন। এতে আপনার সব ইচ্ছা পূরণ হবে।
কুণ্ডলী দোষ কাটাতে
রাশিতে রাহু-কেতু বা শনি দোষ থাকলে, শেষ রুটিতে তেল লাগিয়ে কালো কুকুরকে খাওয়ান। এতে দোষ দূর হবে এবং বাড়িতে সুখ শান্তি থাকবে। সম্ভব হলে প্রতি অমাবস্যায় চালের পায়েস তৈরি করে, সেই ক্ষীরে ছোট ছোট রুটির টুকরো দিন।
এই প্রতিকারগুলি আপনার জীবনের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে এবং সুখী ও সমৃদ্ধ জীবন উপভোগ করতে সাহায্য করবে।