স্বাস্থ্য ও সৌভাগ্যের উপকারিতা:
ছাতু, বিশেষত গরমকালে, স্বাস্থ্যকর একটি সুপারফুড হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন এক গ্লাস ছাতুর শরবত খেলে শরীরের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, এবং ডাক্তারদের মতে, এটি একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। তবে, ছাতু শুধুমাত্র স্বাস্থ্যগত উপকারিতা নয়, এটি সৌভাগ্য বৃদ্ধিতেও বিশেষভাবে উপকারী। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ছাতুর বিভিন্ন গ্রহের সাথে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে যা আমাদের ভাগ্য পরিবর্তনে সাহায্য করতে পারে।
ছাতুর জনপ্রিয়তা ও জ্যোতিষশাস্ত্র:
বিহারে, ছাতু অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। বিহারের ঐতিহ্যবাহী খাবার লিট্টি চোকায় ছাতুর পুর ব্যবহৃত হয়, যা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। জ্যোতিষশাস্ত্রের মতে, ছাতু বিভিন্ন গ্রহের সাথে একটি শক্তিশালী সংযোগ রক্ষা করে। বিশেষ করে সূর্য, মঙ্গল, এবং বৃহস্পতির সাথে ছাতুর বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। নিয়মিত ছাতু খেলে নেগেটিভ এনার্জি দূর হয় এবং মানসিক শান্তি আসে।
সূর্য ও ছাতুর সম্পর্ক:
হিন্দু ধর্মে সূর্যকে ছাতু নিবেদন করার প্রথা রয়েছে। এটি সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি, গরমকালে ছাতু দান করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বৈশাখ মাসে সূর্য মেষ রাশিতে প্রবেশ করলে ছাতু ও গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই সময়ে ছাতু দান করলে সূর্যের শুভ প্রভাব বৃদ্ধি পায়, যা জীবনে উন্নতি ও সমাজে প্রভাব বাড়াতে সাহায্য করে।
বৈশাখ মাসে ছাতুর উপকারিতা:
বৈশাখ মাসে ছাতু খাওয়া এবং দান করার মাধ্যমে আমরা শরীর সুস্থ রাখতে পারি এবং দীন-দরিদ্রদের সহায়তা করতে পারি। শাস্ত্রে বলা আছে, বৈশাখ মাসে ছাতু খাওয়া ও দান করলে পরবর্তী জন্মে দারিদ্র্য ভোগ করা হয় না।
এছাড়াও , ছাতু শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর নয়, এটি সৌভাগ্য বৃদ্ধিতেও সহায়ক। নিয়মিত ছাতু খেলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে এবং জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে আমাদের ভাগ্যও উন্নত হতে পারে। বৈশাখ মাসে ছাতু খাওয়া ও দান করার মাধ্যমে আমরা নিজের ও অন্যের কল্যাণ করতে পারি, এবং সৌভাগ্য নিশ্চিত করতে পারি।