কথিত আছে যে স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের ওপর পূর্ণ অধিকার রয়েছে। এঁরা পরস্পরের প্রতি নিজের সমস্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য পূরণ করেন।
তবে চাণক্য তাঁর নীতি শাস্ত্রে উল্লেখ করেছেন যে, কিছু কথা যদি স্ত্রীকে বলা হয়, তা হলে তাঁরা সারা জীবন স্বামীকে কথা শোনাবেন । কোন চারটি বিষয় স্ত্রীকে বলা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন চাণক্য? আসুন জেনে নেওয়া যাক-
1.অপমান সম্পর্কে
চাণক্য তাঁর নীতিশাস্ত্রে জানিয়েছেন , স্ত্রীকে নিজের অপমানের কথা কখনও জানাতে নেই। কারণ এ ধরনের কথা বললে, স্ত্রী হয়তো কথায় কথায় আপনাকে খোটা দিতে পারে। আবার কখনও এমনও হতে পারে সুযোগ বুঝে এমন কোনও কাজ করাতে পারেন যা হয়তো আপনার ভালো লাগবে না। কোনও কারণে কোথাও অপমানিত হলে এর চর্চা স্ত্রীর সঙ্গে করবেন না।
আরও পড়ুন > এই টোটকা দারুণ কার্যকরী ! রাতারাতি বদলে যাবে আপনার ভাগ্য
2.দুর্বলতা সম্পর্কে
কখনও কাউকে নিজের দুর্বলতা সম্পর্কে যেমন জানাতে নেই, কারণ তাঁরা আপনার ফায়দা তুলতে পারেন ঠিক তেমনই স্ত্রীকে ভুলেও নিজের দুর্বলতার কথা জানাবেন না। চাণক্য সতর্ক করেছেন যে, আপনার দুর্বলতার সুযোগ তুলে স্ত্রী আপনাকে দিয়ে নিজের পছন্দের সমস্ত কাজ করিয়ে নিতে পারেন। তাই নিজের দুর্বলতা সবসময় লুকিয়ে রাখা উচিত।
3.দান সম্পর্কে
শাস্ত্র মতে দান সবসময় গোপন রাখা উচিত। আপনি যদি কাউকে কোনো কিছু দান করে থাকেন তাহলে তা সবসময় গোপন রাখবেন। কারণ দান গোপন রাখলে আপনারই লাভ হবে। দান সম্পর্কে জানালে এর গুরুত্ব কমে যাব। সেই দান
4.উপার্জন সম্পর্কে
স্ত্রীকে নিজের সম্পূর্ণ উপার্জন সম্পর্কে কখনও জানাবেন না। স্বামীর আয় সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানতে পারলে স্ত্রীরা নিজের পছন্দ মতো ব্যয় করতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চাণক্য। অনেক সময় তাঁরা অপ্রয়োজনীয় জিনিসের জন্যও ব্যয়ও করতে পারেন তাঁরা । যা আটকানো আপনার পক্ষে সম্ভব না-ও হতে পারে।