শাস্ত্রে এমন অনেক দিনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে , যে দিনগুলোতে ভাত বানাতে নেই।তবে জানেন কি ? শাস্ত্রে এমন পাঁচটি দিনের কথা বলা আছে, যে দিনগুলিতে রুটি বানালে আপনি ঘোরতর অমঙ্গলের জালে জড়িয়ে পরবেন ।
জেনে নিন কোন কোন দিনে ভুলেও রুটি বানাতে নেই-
1.দীপাবলিঃ
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম বড় ধর্মীয় উত্সব হল দীপাবলি । এই দিনে বাড়িতে ভুলেও রুটি বানাবেন না। কারণ এই দিনে বাড়িতে রুটি বানালে মা লক্ষ্মী কৃপা বাড়ি থেকে দূরে যেতে থাকে। তাই দিওয়ালির দিন কখনোই বাড়িতে রুটি বানানো উচিত নয়।
আরও পড়ুন > নিজের রাশি জানেন না ? এবার বিনামুল্যে জানুন আপনার রাশি
2.শারদ পূর্ণিমাঃ
শারদ পূর্ণিমা বা কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষ্মীপুজো করা হয়ে থাকে। এই দিনে কখনোই রুটি বানাতে নেই। কারণ কোজাগরী পূর্ণিমায় পায়েস , লুচি তৈরি করা অত্যন্ত শুভ । এর ফলে তুষ্ট হন মা লক্ষ্মী। শারদ পূর্ণিমায় ক্ষীর বা পায়েস তৈরি করে তা সারা রাত চাঁদের আলোয় রেখে দিয়ে সকালে তা প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করলে শুভ ফল পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন > ঘুম থেকে উঠে ভুলেও করবেন না এই কাজ ! নামবে ঘোর বিপদ
3.শীতল অষ্টমীঃ
শীতল অষ্টমী মা শীতলার আরাধনা করার রীতি প্রচলিত আছে। শীতল অষ্টমীতে বাড়িতে রুটি বা অন্য কোনও খাবারই টাটকা তৈরি করতে নেই। এদিন বাসি খাবার খাওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে।কিছু কিছু মানুষ আছে যারা এই রীতি মেনে চলেন ।
আরও পড়ুন > ঋণের বোঝা বাড়ছে ? পাবেন মুক্তি ! ৪টি সমস্যা মেটাবে এই জিনিস
4.বাড়িতে মৃত্যু হলেঃ
পুরাণ অনুসারে বাড়িতে কারোর মৃত্যু হলে সেই দিনে রুটি তৈরি করতে নেই। শুধু সেই দিনে নয়, টানা ১৩ দিনে ওই বাড়িতে রুটি বানানো উচিত নয়। এতে বিপদের ছায়া জরিয়ে পরে বাড়িতে ।
5.নাগপঞ্চমীঃ
নাগপঞ্চমী তিথিতে রান্নাঘরে তাওয়া বা চাটু ব্যবহার করতে নেই। শাস্ত্র অনুসারে নাগপঞ্চমীতে তাওয়া বা চাটু ছাড়া অন্য পাত্রে রান্না করতে পারেন। রুটি করতে যেহেতু তাওয়া বা চাটুর প্রয়োজন, তাই এদিন রুটি বানানো উচিত নয়।