আমাদের মনে মধ্য এমন কোনও প্রশ্ন নেই, যাঁর উত্তর গীতায় পাওয়া যায় না। আজ আমরা জানবো গীতায় বলা কিছু অমূল্য শিক্ষা বা বানী । কৃষ্ণ এবং অর্জুন ছিলেন অভিন্ন হৃদয় বন্ধু। তবে তার সঙ্গে সখা পার্থকে সব সময় সঠিক পথে চালনা করতেন শ্রীকৃষ্ণ। বিশেষত কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরুর মুখে অর্জুন যখন দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে অস্ত্র ত্যাগ করেন, সেই সময় তাঁকে গীতার উপদেশ দান করে জীবনের আসল উদ্দেশ্য বুঝিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ।
কৃষ্ণ ছিলেন সেই গুরু, যিনি শিষ্যের কঠিন সময়ে তাঁকে ত্যাগ করে যান না। গীতার বাণী আজও আমাদের জীবনের সঠিক পথ দেখায়। তাই গীতাকে বলা হয় জীবনের শ্রেষ্ঠ দর্শন। আজ শিক্ষক দিবসে আমরা জেনে নেব গীতার কয়েকটি অমূল্য শিক্ষা।
গীতার ৬ অমূল্য শিক্ষা
1.প্রথমঃ
ঈশ্বর আমাদের মধ্যেই আছেন। আমারা কষ্ট পেলে ভগবানও কষ্ট পান এবং ভগবানও আমাদের সঙ্গেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। আমাদের শিক্ষক বা গুরুর মধ্যেই ঈশ্বরের বাস। তিনি আমাদের শেখান জীবনে খারাপ সময় এলে কী ভাবে তার মোকাবিলা করতে হয়।
2.দ্বিতীয়ঃ
মহাভারতে অর্জুনকে গীতার জ্ঞান দেওয়ার সময় অর্জুন বলেন, আমরা নিজেরাই নিজেদের সবচেয়ে ভালো চিনি। এই পৃথিবীর অন্য কেউ এর থেকে ভালো আমাদের চিনতে পারে না। কোনও মানুষ যেদিন নিজের দোষ গুণ সব জেনে যাবেন, তাঁকে আর কেউ আটকাতে পারবে না।
3.তৃতীয়ঃ
শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, মনের মধ্যে অকারণে ভয় বাসা বেধে থাকলে সেটা শুধু আমাদের সময় নষ্ট করে। এই কারণের নিজের লক্ষ্য অর্জন করতে আগে মনের থেকে ভয় দূর করতে হবে।
4.চতুর্থঃ
গীতায় বলা হয়েছে যে রাগ হল আমাদের একটা অসুখ, যা আমাদের ভেতর থেকে ফাঁকা করে দেয়। আপনি যদি বেশী সময় ধরে রেগে থাকেন, তাহলে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। এছাড়াও নিজের শক্তি এই ভাবে আপনি নষ্ট করবেন এবং রাগ আপনাকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে নেবে। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ ভাবে জরুরি।
5.পঞ্চমঃ
শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন যে, কোনও সরল মানুষকে ঠকালে তা আমাদের ধ্বংসের দরজা খুলে দেয়। তাই যদি কেউ কোনো সরল মানুষকে ঠকিয়ে থাকেন তবে প্রথমে সেই ব্যাক্তি নিজের জয় উপভোগ করেন, কিন্তু ধীরে ধীরে তার সঙ্গে এমন কিছু ঘটনা ঘটতে থাকে, যা তাঁর পতন অবশ্যম্ভাবী করে তোলে।
6.ষষ্টঃ
শ্রীকৃষ্ণ আরও বলেছেন যে, জীবনে বন্ধু থাকা জরুরি। কিন্তু একা হয়ে যাওয়ার ভয়ে কখনও কোনও ভুল মানুষের সঙ্গে বন্ধত্ব করা উচিত নয়। ভুল মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করলে তার পরিণাম কখনও ভালো হয় না।