আমাদের সমাজে নারীরা কতটা নিরাপদ, এমনই প্রশ্নের মধ্যেই নারীশক্তির আরাধনার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে সবার মাঝে । আগামী ১০ অক্টোবর দুর্গাপুজোর সপ্তমী। তার আগে ২ অক্টোবর মহালয়া।
দেবী দুর্গা ও তাঁর পুত্র-কন্যার নিজস্ব বাহন থাকলেও আগমন ও প্রস্থানের বাহনের কথা আলাদা করে পঞ্জিকায় উল্লেখ রয়েছে । প্রতি বছর মা দুর্গার আগমন ও প্রস্থান সাধারণত একই বাহনে হয় না। যদিও কোনও বছর হয়‚ তবে তা খুবই অশুভ ইঙ্গিত বহন করে। এই বছর দুর্গার আসা ও যাওয়া দুটি ভিন্ন বাহনে হবে। আসুন তে জেনে নিই –
1.সময় সূচির ধারনাঃ
পঞ্জিকা অনুসারে পুজোর সপ্তমীতে দেবীর আগমন হয়, আর গমন হয় দশমীতে। এই দুই দিন সপ্তাহের কোন কোন বারে পড়ছে, তার উপরেই নির্ভর করে স্থির হয় দেবীর আসা যাওয়ার বাহন। শাস্ত্র অনুযায়ী সপ্তমী রবি বা সোমবার হলে দেবীর বাহন হবে গজ বা হাতি। সপ্তমী শনি বা মঙ্গলবার হলে দেবীর বাহন ঘোটক বা ঘোড়া। সপ্তমী বৃহস্পতি বা শুক্রবার হলে দেবীর বাহন দোলা বা পালকি। সপ্তমী বুধবার হলে দেবীর বাহন নৌকা। একই ভাবে, দশমী রবি বা সোমবার হলে দেবীর বাহন গজ। দশমী শনি বা মঙ্গলবার হলে দেবী বিদায় নেবেন ঘোড়ায় চড়ে। দশমী বৃহস্পতি বা শুক্রবার হলে দেবীর গমন হবে দোলা বা পালকিতে। আর দশমী বুধবার হলে দেবীর নৌকায় করে কৈলাশে ফিরবেন দেবী।
2.এই বছর দুর্গার বাহনঃ
এই বছর সপ্তমী পড়েছে ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার। তাই দুর্গার আগমন দোলা বা পালকিতে। এবং বিজয়া দশমী পড়েছে আগামী ১৩ অক্টোবর রবিবার । মা দুর্গা পুত্র-কন্যা নিয়ে কৈলাশে ফিরে যাবেন গজ বা হাতির পিঠে আসীন হয়ে।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, দুর্গা যদি পালকিতে করে আসেন, তাহলে তাঁর ফল হতে পারে মহামারী, ভূমিকম্প, খরা, যুদ্ধ ও অতিমৃত্যু।
দেবী ফিরবেন গজ বা হাতিতে, শাস্ত্র মতে যা দেবীর উৎকৃষ্টতম বাহন। দেবীর আগমন হাতিতে হলে মর্ত্যলোক ভরে ওঠে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধিতে। পূর্ণ হয় ভক্তদের মনোবাঞ্ছা। পরিশ্রমের সুফল পায় মর্তলোকের অধিবাসীগণ। শুধু তাই নয় অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি নয়, ঠিক যতটা প্রয়োজন ততটা বর্ষণ হয়ে থাকে ।