নৈহাটির বড়মাকে কেন ‘বড়মা’ ডাকা হয়? জানুন ১০০ বছরের প্রাচীন ইতিহাস

Naihati Boro Maa Puja: বাংলায় আরও এক বিখ্যাত ও জাগ্রত দেবী কালী হলেন নৈহাটির বড়মা। এক অমোঘ টানে প্রতি বছর হাজার হাজার ভক্ত মানত করেন, পুজো দেন, ভিড় করেন একঝলক শুধু দেখার জন্য। নৈহাটির অরবিন্দ রোডের ধর্মশালা বড় কালী ঠাকুরকেই স্থানীয়রা বড়মা বলে ডাকেন। সেই থেকেই চারিদিকে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর কাহিনি।

 

শুরু হয়েছে বাঙালির প্রাণের পুজো কালীপুজো। পুরাণ মতে, কালীর রয়েছে বিভিন্ন রূপ। কোথাও শ্যামাপুজো, কোথাও শ্মশানকালী, কোথাও চামুণ্ডাকালী পূজিত হন। দেবীর বিভিন্ন রূপ বহু জায়গায় নানা নামে আরাধনা করা হয়। কালীপুজোয় দক্ষিণেশ্বর, ঠনঠনিয়া, লেক কালীবাড়ি, তারাপীঠ, কামাখ্যা, কালীঘাট থেকে শুরু করে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে কালী মন্দিরে দীপান্বিত অমাবস্যায় বিশেষপুজোর আয়োজন করা হয়।

শুরু হয়েছে বাঙালির প্রাণের পুজো কালীপুজো। পুরাণ মতে, কালীর রয়েছে বিভিন্ন রূপ। কোথাও শ্যামাপুজো, কোথাও শ্মশানকালী, কোথাও চামুণ্ডাকালী পূজিত হন। দেবীর বিভিন্ন রূপ বহু জায়গায় নানা নামে আরাধনা করা হয়। কালীপুজোয় দক্ষিণেশ্বর, ঠনঠনিয়া, লেক কালীবাড়ি, তারাপীঠ, কামাখ্যা, কালীঘাট থেকে শুরু করে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে কালী মন্দিরে দীপান্বিত অমাবস্যায় বিশেষপুজোর আয়োজন করা হয়।

1 / 8

বাংলায় আরও এক বিখ্যাত ও জাগ্রত দেবী কালী হলেন নৈহাটির বড়মা। এক অমোঘ টানে প্রতি বছর হাজার হাজার ভক্ত মানত করেন, পুজো দেন, ভিড় করেন একঝলক শুধু দেখার জন্য। নৈহাটির অরবিন্দ রোডের ধর্মশালা বড় কালী ঠাকুরকেই স্থানীয়রা বড়মা বলে ডাকেন। সেই থেকেই চারিদিকে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর কাহিনি।

বাংলায় আরও এক বিখ্যাত ও জাগ্রত দেবী কালী হলেন নৈহাটির বড়মা। এক অমোঘ টানে প্রতি বছর হাজার হাজার ভক্ত মানত করেন, পুজো দেন, ভিড় করেন একঝলক শুধু দেখার জন্য। নৈহাটির অরবিন্দ রোডের ধর্মশালা বড় কালী ঠাকুরকেই স্থানীয়রা বড়মা বলে ডাকেন। সেই থেকেই চারিদিকে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর কাহিনি।

2 / 8

বড়মা কেন নাম? অনেকেই শনিঠাকুরকে বড় ঠাকুর বলে থাকেন। গ্রহরাজ ও গ্রহের অধিপতি বলে তাঁকে বড়ঠাকুর বলে অনেকেই ডাকেন। তেমনি নৈহাটির বড়মার নামকরণ হয়েছে এক বিশেষ কারণে। এই কালী মূর্তির আকারে ও উচ্চতায় বিরাট, প্রায় ২১ ফুটের কাছাকাছি উচ্চতা। প্রায় ধরুন ১৪ হাত উঁচু একটি কালীমূর্তি। এই কারণে এই দেবীকে বড়মা বলে ডাকেন সকলে।

বড়মা কেন নাম? অনেকেই শনিঠাকুরকে বড় ঠাকুর বলে থাকেন। গ্রহরাজ ও গ্রহের অধিপতি বলে তাঁকে বড়ঠাকুর বলে অনেকেই ডাকেন। তেমনি নৈহাটির বড়মার নামকরণ হয়েছে এক বিশেষ কারণে। এই কালী মূর্তির আকারে ও উচ্চতায় বিরাট, প্রায় ২১ ফুটের কাছাকাছি উচ্চতা। প্রায় ধরুন ১৪ হাত উঁচু একটি কালীমূর্তি। এই কারণে এই দেবীকে বড়মা বলে ডাকেন সকলে।

3 / 8

কালীপুজোর সকাল থেকেই এই ঐতিহ্যবাহী পুজোয় হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয়। অনেকে দণ্ডি কাটেন, মনোবাসনা পূরণ করার জন্য গঙ্গাস্নান করে প্যান্ডেলে দণ্ডি কাটেন। তবে এই পুজো আগে এত জনপ্রিয় ছিল না। রাস্তার ধারে রক্ষাকালী মূর্তিতেই পুজো করতেন একদল যুবক। আজ এই পুজো ১০০ বছর পূর্ণ করতে চলেছে। ফলে বিশেষ আয়োজন যে রয়েছেই , তা বলাই বাহুল্য।

কালীপুজোর সকাল থেকেই এই ঐতিহ্যবাহী পুজোয় হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয়। অনেকে দণ্ডি কাটেন, মনোবাসনা পূরণ করার জন্য গঙ্গাস্নান করে প্যান্ডেলে দণ্ডি কাটেন। তবে এই পুজো আগে এত জনপ্রিয় ছিল না। রাস্তার ধারে রক্ষাকালী মূর্তিতেই পুজো করতেন একদল যুবক। আজ এই পুজো ১০০ বছর পূর্ণ করতে চলেছে। ফলে বিশেষ আয়োজন যে রয়েছেই , তা বলাই বাহুল্য।

4 / 8

আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে, ভবেশ চক্রবর্তী  ও তাঁর চার বন্ধু মিলে নবদ্বীপে ভাঙা রাস দেখতে যান। সেখানে গিয়ে বড় বড় মূর্তি দেখে চোখ ওঠে কপালে। বিস্মিত হয়ে বড় বড় মূর্তি দেখে নৈহাটিতে একটি রক্ষাকালী মূর্তিকে বিশালাকার মূর্তি গড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কথিত আছে, এই পুজো ভবেশ চক্রবর্তী স্থাপন করেছিলেন, তাই এই দেবীকে ভবেশ কালীও বলা হয়। প্রথমে সকলে ভবেশ কালীই বলে ডাকতেন, তারপর বিশালাকার মূর্তিকে বড়মা বলে অভিহিত করেন।

আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে, ভবেশ চক্রবর্তী ও তাঁর চার বন্ধু মিলে নবদ্বীপে ভাঙা রাস দেখতে যান। সেখানে গিয়ে বড় বড় মূর্তি দেখে চোখ ওঠে কপালে। বিস্মিত হয়ে বড় বড় মূর্তি দেখে নৈহাটিতে একটি রক্ষাকালী মূর্তিকে বিশালাকার মূর্তি গড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কথিত আছে, এই পুজো ভবেশ চক্রবর্তী স্থাপন করেছিলেন, তাই এই দেবীকে ভবেশ কালীও বলা হয়। প্রথমে সকলে ভবেশ কালীই বলে ডাকতেন, তারপর বিশালাকার মূর্তিকে বড়মা বলে অভিহিত করেন।

5 / 8

নৈহাটিতে বড়মায়ের একটি স্থায়ী মন্দির রয়েছে। সেখানে নিয়মিত পুজো হলেও পূর্বে যে জায়গায় রক্ষাকালী পুজো করা হত কালীপুজোয়, সেখানেই প্রতিবছর মৃন্ময়ী রূপে প্রতিষ্ঠা করা হয়, সেখানেই পুজো করা হয়।  কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় খুঁটিপুজো করা হয়। তারপর স্থানীয়দের মতে, এই পুজো সার্বজনীন হলেও কারও কাছ থেকে কখনও চাঁদা বা দক্ষিণা নেওয়া হয় না। দেবীর গায়ের গয়না থেকে ভোগ, পুজোর সামগ্রী,পুজোর সমস্ত খরচ করে থাকেন সাধারণ ভক্তরা।

নৈহাটিতে বড়মায়ের একটি স্থায়ী মন্দির রয়েছে। সেখানে নিয়মিত পুজো হলেও পূর্বে যে জায়গায় রক্ষাকালী পুজো করা হত কালীপুজোয়, সেখানেই প্রতিবছর মৃন্ময়ী রূপে প্রতিষ্ঠা করা হয়, সেখানেই পুজো করা হয়। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় খুঁটিপুজো করা হয়। তারপর স্থানীয়দের মতে, এই পুজো সার্বজনীন হলেও কারও কাছ থেকে কখনও চাঁদা বা দক্ষিণা নেওয়া হয় না। দেবীর গায়ের গয়না থেকে ভোগ, পুজোর সামগ্রী,পুজোর সমস্ত খরচ করে থাকেন সাধারণ ভক্তরা।

6 / 8

নৈহাটির বড়মায়ের গায়ে গয়না দেখলে অবাক হতে হয়। কারণ গোটা মূর্তিই সোনা-রূপার বিভিন্ন আকারের গয়নায় মোড়া থাকেন। শোনা যায়, বড় মা সোনা ও রূপা ছাড়া আর কোনও ধাতুর অলঙ্কার পরেন না। তাই ভক্তরাই মনোবাসনা পূরণ করার জন্য বিভিন্ন সময় সোনা ও রুপোর গয়না মানত হিসেবে দিয়ে থাকেন। হিসেব বলছে, প্রায় দেড় কোটি টাকার গয়না পড়েন বড় মা। প্রতিবছর কালীপুজোয় সেই গয়না পরিয়ে পুজো করা হয়। স্বর্ণালঙ্কারে সেজে ওঠেন বড়মা।

নৈহাটির বড়মায়ের গায়ে গয়না দেখলে অবাক হতে হয়। কারণ গোটা মূর্তিই সোনা-রূপার বিভিন্ন আকারের গয়নায় মোড়া থাকেন। শোনা যায়, বড় মা সোনা ও রূপা ছাড়া আর কোনও ধাতুর অলঙ্কার পরেন না। তাই ভক্তরাই মনোবাসনা পূরণ করার জন্য বিভিন্ন সময় সোনা ও রুপোর গয়না মানত হিসেবে দিয়ে থাকেন। হিসেব বলছে, প্রায় দেড় কোটি টাকার গয়না পড়েন বড় মা। প্রতিবছর কালীপুজোয় সেই গয়না পরিয়ে পুজো করা হয়। স্বর্ণালঙ্কারে সেজে ওঠেন বড়মা।

7 / 8

পুজোর দিন ১০০ কেজির সোনার গহনা পড়ানো হয় বড়মা কে। থাকে কড়া নিরাপত্তা।তবে বড়মার পুজো শুরু না হলে নৈহাটির কোন পুজো শুরু হয় না।একদিন নয়, টানা পাঁচদিন ধরে চলে বড়মার উপাসনা। নিরঞ্জনের দিন দেবীমূর্তিকে ফুলের সাজে সাজিয়ে গোটা এলাকায় বিশাল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। স্থানীয়দের মতে, বড় মায়ের বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত নৈহাটির অন্য কোনও কালীমূর্তিকে বিসর্জন করা যায় না। আয়োজন করা হয় আলোর কার্নিভালও।

পুজোর দিন ১০০ কেজির সোনার গহনা পড়ানো হয় বড়মা কে। থাকে কড়া নিরাপত্তা।তবে বড়মার পুজো শুরু না হলে নৈহাটির কোন পুজো শুরু হয় না।একদিন নয়, টানা পাঁচদিন ধরে চলে বড়মার উপাসনা। নিরঞ্জনের দিন দেবীমূর্তিকে ফুলের সাজে সাজিয়ে গোটা এলাকায় বিশাল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। স্থানীয়দের মতে, বড় মায়ের বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত নৈহাটির অন্য কোনও কালীমূর্তিকে বিসর্জন করা যায় না। আয়োজন করা হয় আলোর কার্নিভালও।

8 / 8

Related Posts

জীবনে সাফল্য পেতে চান ? তাহলে এক্ষুনি...
 আপনি যদি প্রতিটি কাজে সমস্যার সম্মুখীন হন এবং কোনো কাজে...
Read more
কর্পূরের অলৌকিক কৌশলে সহজেই বদলাবে...
হিন্দু ধর্মে পূজা করা  যতটা গুরুত্ব, তাতে ব্যবহৃত উপকরণ গুলি...
Read more
১৫ জুলাইঃ আজ টাকার ঝড় বইবে...
দেখে নিন আজকের রাশিফল  1.মেষ রাশি: আপনি আজ দাঁতের যন্ত্রণা অথবা...
Read more
Ajker Rashifal 12 June 2024: জামাই ষষ্ঠীতে...
Daily Bengali Horoscope: আজ সিংহ রাশিতে উপস্থিত চাঁদ ও বৃষে...
Read more
এই রথযাত্রায় জগন্নাথদেবের রথের দড়ি একটি বার...
হিন্দু ধর্মের প্রচলিত প্রধান ধর্মীয় স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম হল পুরীধাম...
Read more
৩ রাশির জন্য সুখের দিন আসতে চলেছে...
বর্তমানে শনি বৃহস্পতির নক্ষত্রে অবস্থান করছে। আগামী দিনগুলিতে, শনির গতি...
Read more